সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৪৫ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আফগানরা। এতে ২-১ ব্যাবধানে সিরিজ জেতে আফগানিস্তান।
নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে আফগানিস্তান। দলীয় ৪১ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে তাদের। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল। একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকলেও রহমানুল্লাহ গুরবাজকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শাহীদি। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৮ ও ৬ রান।
৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেন গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুজন মিলে গড়েন শতরানের পার্টনারশিপ। সেঞ্চুরি তুলে নেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে শতকে পৌঁছানোর পরপরই মিরাজের বলে জাকিরের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন তিনি। অর্ধশতক তুলে নেন ওমরজাই। মোহাম্মদ নবিকে সাথে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। ৩৪ রান আসে নবির ব্যাটে।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট তুলে নেন নাহিদ রানা ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ২৪ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। ১৯ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে হাসমতউল্লাহ শাহীদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন জাকির হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটেই এ ম্যাচে দেখা যায় রান খরা। জাকির ও হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪ ও ৭ রান।
৭২ রানে ৪ উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ১৪৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন মেহেদী মিরাজ। ব্যক্তিগত ৬৬ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মিরাজ। জাকির আলী ফেরেন ১ রানে। নাসুম আহমেদের ব্যাটে আসে ৫ রান।
ইনিংসের শেষ বলে শতরান থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯৮ রানে রান আউটের শিকার হন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩৭ রানের খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান।
/এমএইচআর
Leave a reply