নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। আর তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে ন্যাটোকে। এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জি টোয়েন্টি সম্মেলনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইউক্রেন সম্প্রতি যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা বুঝিয়ে দিয়েছে, পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কোন দিকে যাচ্ছে। এটা ইতিবাচক কিছু নয়।
মস্কোর পরমাণু হামলার হুমকি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আত্মরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার সক্ষমতা আছে রাশিয়ার। মস্কোর অবস্থান ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিৎ ন্যাটোর। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের সাথেই সুসম্পর্ক রক্ষার কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উত্তেজনা নিরসনে শান্তির আহ্বান জানান দু’পক্ষকে।
এরদোগান আরও বলেন, ‘সবকিছুর পূর্বে, নিজেদের সুরক্ষায় পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থার সক্ষমতা আছে রাশিয়ার। ন্যাটো সদস্য হিসেবে আমাদেরও নিজেদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। রাশিয়াও আমাদের প্রতিবেশী, ইউক্রেনও। এই মুহূর্তে দু’পক্ষের সাথেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে আমাদের।’
সম্প্রতি, নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলাফল স্বরূপ- মার্কিন সহায়তাপ্রাপ্ত আর্মি ট্যাকটাইল মিসাইল সিস্টেম দিয়ে রুশ ভূখণ্ডের আরও ভেতরে হামলা চালাতে পারবে কিয়েভ। মূলত এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
সর্বোচ্চ ৩শ’ কিলোমিটার পাল্লার এ মিসাইল সিস্টেম যদি কিয়েভ ব্যবহার করে তাহলে বদলে যেতে পারে যুদ্ধ পরিস্থিতি, বাড়তে পারে পরিধি, এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের। বলা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে দেবে ইউক্রেনকে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়ান কেলি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র যে এই ইস্যু থেকে বের হতে চাচ্ছে না রাশিয়ার জন্য এটি একটি সংকেত। পাশাপাশি ওয়াশিংটন যে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েই যাবে এটা তারই বার্তা। এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী সামরিক অবস্থানে যাবে বাইডেন প্রশাসন। যাতে যেকোনো ধরনের আলোচনায় সুবিধা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন সিদ্ধান্তকে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের সরাসরি সংঘাত হিসেবেই দেখবে মস্কো। ফলে ন্যাটো দেশগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে পুতিন প্রশাসন।
/এআই
Leave a reply