সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি :
ভারত বাংলাদেশের বর্তমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম,মেঘালয়সহ একাধিক রাজ্যের সীমান্ত বাণিজ্য ও দুই দেশের পর্যটকদের যাতায়াত ব্যাপক কমেছে। যার ফলে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাড়ের ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের সর্বত্র একই চিত্র। তার কিছুটা রেশ পড়েছে কলকাতার নিউ মার্কেটের অলিতে গলিতে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টার্মিনালে সীমান্তের বনগাঁর পেট্রাপোল ও বসিরহাট মহাকুমার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বন্ধের মুখে আমদানি-রফতানি, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জসহ হোটেল ও পরিবহন ব্যবসা।
দুই থেকে তিন মাস পূর্বে যাদের ভিসা করা, সেইসব পর্যটকরাই একমাত্র যাতায়াত করছেন। তবে তাদের সংখ্যাও খুব কম। কেবল মাত্র ঘোজাডাঙ্গা ও ভোমরা সীমান্তে আগে প্রতিদিন দুই পাড় মিলিয়ে এক হাজারের বেশী পন্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করতো।
বর্তমান সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১শ’র কম। যাঁর ফলে বড় প্রভাব পড়েছে সীমান্ত অর্থনীতিতে। পণ্য পরিবহনের মাত্রা কমে যাওয়ায় দুই বাংলায় লোডিং আন লোডিংয়ের হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার গুলিতে আগে বাংলাদেশের প্রতি ১০০ টাকা বাটা ছিল ৭২-৭৫ রুপি। বর্তমান সেটা নেমেছে ৬৯ রুপি।
ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের আমদানি রফতানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডল বলেন, ‘আমরা যেসব পণ্যবাহী জিনিসপত্র রফতানি করছি সেগুলো পেমেন্ট অনেক দেরিতে আসছে। ডলার দর দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে, যার কারণে ভারতীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা লোকসানের ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সেকারণে আগের থেকে সীমান্ত বাণিজ্যে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে।
একই চিত্র বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে। এই অচলাবস্থা কবে কাটবে তার জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন গুনছেন সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।
/এআই
Leave a reply