জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারীরা রাস্তায় চলাচলের সময় এবং কর্মস্থলে মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে কাজ করবে। দেশের ভাগ্য উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নারীরাও অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরিদপুরে এক কর্মী সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, এমন একটা অপবাদ দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না। মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে যে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জোর করে নারীদের কালো বোরখা পরানো হবে। এমনটা করা হবে না। মনের খুশিতে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে যারা বোরখা পড়তে চায় পড়বে। অন্য ধর্মের মানুষের ওপর জোর খাটানোর অধিকার নেই। কেউ যদি ধর্মীয় পোশাক না পড়ে তাদের তিরস্কার করা হবে না। জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন সমাজ চায়। সেই সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য লাগবে। আমরা এমন সমাজ চাই যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা পাহারা দেয়া লাগবে না। মানুষ মানুষকে সম্মান করবে এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হলেও আমরা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসাথে মিলেমিশে বাস করি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করি। আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক অভূতপূর্ব সম্পর্ক এবং সম্প্রীতি রয়েছে। এটি এদেশের মানুষের গর্ব। এমন সুন্দর পরিবেশকে একটি পরিবার, গোষ্ঠী এবং একটি দল এলোমেলো করে দিয়েছে। এরা আগে পরিবার পরে গোষ্ঠী এবং দলকে দেখে জুলুম জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। এরা ছিল হিংসুক ও বেপরোয়া।
জা্মায়াতের আমির বলেন, ২০০৬ সালে লগি বৈঠার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর থীই খুনের অস্ত্রকে ধারালো করেছে। ক্ষমতায় আসার পরপরই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকুস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। এই খুনের নেপথ্যের নায়ক কারা আজও মানুষ তা জানতে পারেনি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই এই খুনের সাথে জড়িত ছিল।
তিনি আরও বলেন, তারা সাধারণ মানুষকে খুন করেছে। খুন এবং গুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল। মানুষের জীবন নিয়ে উপহাস করতো। তারা মনে করতো তারা বাড়ির মালিক আর ১৮ কোটি মানুষ ভাড়াটিয়া। তারা বলতেন তারা দেশকে ৪১ সাল পর্যন্ত লিজ নিয়েছেন। মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে তামাশায় রূপান্তরিত করেছিল।
/এএস
Leave a reply