দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে হাইকোর্টের দুই বেঞ্চের বিপরীতমুখী আদেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বললেও, আরেকটি বেঞ্চ দণ্ডিত প্রার্থীকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। এই বিতর্কের সুরাহা প্রধান বিচারপতির আদালতেই হবে বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের।
দুর্নীতির মামলায় দু’বছরের বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত কারো সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিপরীতমুখী দুটি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আলাদা দুটি বেঞ্চ। একটি দ্বৈত বেঞ্চ কয়েক দিন আগে আদেশ দেন- সাজা স্থগিত নয়, নির্বাচনে অংশ নিতে ওই ব্যক্তির সাজা বাতিল হতে হবে আদালতে। একই আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রাখে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ যশোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবিরা সুলতানার ছয় বছরের সাজা স্থগিত করেন। জাতীয় নির্বাচনে সাবিরা সুলতানার অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বিপরীতমুখী আদেশের ক্ষেত্রে দ্বৈত বেঞ্চের আদেশ একক বেঞ্চ থেকে প্রাধান্য পাবে বলে মনে করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে।
সাবিরা সুলতানার পক্ষে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আপিল সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আদালত বন্ধ থাকার পরেও শনিবার চেম্বার জজ আদালতে এই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে দিন নির্ধারিত থাকার কারণে তারা আর দেরি করতে চান না। তিনি বলেন, যদি এই আদেশের সুযোগ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন তাহলে সেটা সংবিধানের পরিপন্থী হবে।
Leave a reply