বাবুল আক্তার কারামুক্ত

|

বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি।

স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন।

এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন মাহমুদা খানম মিতুর পিতা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। তবে তা তার মুক্তি আটকাতে পারেনি। আজ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত বাবুল আক্তারের জামিন বহাল রাখেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ওই সময় ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। একই দিন তাকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাত জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

গত বছরের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যপর্যায়ে রয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply