নীরব এলাকা ঘোষিত হলেও বাড়ছে শব্দ দূষণ, ত্যক্ত-বিরক্ত সবাই

|

ফারহানা ন্যান্সি

নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষিত সচিবালয় এলাকায় শব্দ দূষণ হয় সর্বোচ্চ ৯৪ থেকে ১০০ ডেসিবেল। যা দিনের বেলার জন্য আর্দশ মানের শব্দ মাত্রার ২ গুণ বেশি। সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকাকেও নীরব এলাকা ঘোষণা করলে শব্দ দূষণ কমার কোনও প্রবণতা নেই। যদিও সেখানে থাকা চারপাশে সাইনবোর্ডের সতর্কীকরণ বেশ চোখে পড়বে!

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণায় উঠে আসে, বিমানবন্দর এলাকা থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত এলাকায় আগের চেয়ে শব্দ দূষণের মাত্রা কমে তো নাই-ই বরং কিছু ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে উঠে আসে আরও মজার তথ্য। যেখানে বসে শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ধারণের দাফতরিক কাজ হয়, সেই সচিবালয় এলাকায় এক মিনিটে শব্দমাত্রা রেকর্ডে ৭০ ডেসিবেলের নিচে নামেনি আর সর্বোচ্চ ৯৮ ডেসিবেল পর্যন্ত।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বললেন, সচিবালয়ের চারপাশে শব্দদূষণ সবচেয়ে বেশি। এটি নীরব এলাকা হওয়ার আগেও বেশি ছিল। নীরব এলাকা ঘোষণার পরেও শব্দদূষণ বেশি। বাস্তবায়নে আমাদের ব্যর্থতার কারণে এলাকাগুলো নীরব হয়নি। কোনো কোনো এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণার পরপরই শব্দদূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে আরও।

বিমানবন্দর এলাকায় এখনও একই অবস্থায় ত্যক্ত-বিরক্ত সব বয়সীরা। আর রাস্তায় যাদের কাজ তাদের তো শারিরীক নানা সমস্যা নিয়েই বসবাস রাজধানীজুড়ে।

ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, তারা যখন কাজ শেষে বাসায় যান, ঘুমের ক্ষেত্রে তাদের বাজে প্রভাব পড়ছে। এছাড়া, কাজ বা কর্মক্লান্তি শেষে একটু বিশ্রাম বা অবসাদ নিতে চাইলে, তা ভালোমতো নিতে পারছি না।

শব্দদূষণের অন্যতম কারণ গাড়ির হর্ন। যানবাহনের শব্দ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু উৎস। এ নিয়ে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, গাড়ি থেকে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়ে থাকে। সেখানে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাড়ির ইঞ্জিন, হর্ণ, চাকার শব্দ থেকে শব্দদূষণ হয়ে থাকে। আমাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো থেকে শব্দদূষণ হয়ে থাকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply