সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর ছিল না, বৈধ হলো কীভাবে: রিজভী

|

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর ছিল না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বলা হয়েছে-সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে টিপসই দেয়া হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অচেতন হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?

বিএনপির এ নেতা বলেন, কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তার স্বাক্ষর কিংবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে, যার মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমমানের।

তিনি বলেন, তার মনোনয়নপত্র বাংলাদেশে নোটারি করা হয়েছে। এটি আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?

রিজভী দাবি করেন, বিনা অজুহাতেই এসব বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের কক্ষসংলগ্ন ‘ছোট রুম’টিই এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে কি হবে না, সেটি জানার জন্য বারবার রিটার্নিং অফিসার ওই ছোট রুমে ছুটে যান।

রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য মনোনয়ন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে ৫০ জনের মতো দলের হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক এমপির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মূলত সরকারের নির্দেশ শোনার জন্যই রিটার্নিং অফিসারকে বারবার ওই রুমে যেতে হয়। বিএনপির প্রার্থীদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র নির্ভুল থাকার পরও ওই ছোট রুম থেকে ফিরে এসে রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) বলেন, ওপরের নির্দেশ আছে বলেই এ মনোনয়নপত্রটি বাতিল করতে আমি বাধ্য হচ্ছি, বলেন রিজভী।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর একজনেরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। কারণ তাদের সাধু সন্ন্যাসী বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply