পটুয়াখালীতে কৃষকের ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:

পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী এলাকায় এক দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে চলমান একটি মামলার মাঝে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায়, স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. নাসির হাওলাদার দুই বছরের জন্য ওই জমি লিজ নিয়ে কৃষকের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন কৃষক মো. সেকান্দার আলী। জমিটি সেকান্দার আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি। তার দাদাও পৈত্রিক সূত্রে ওই মালিকানা পেয়েছিলেন। তবে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন বিএনপি কর্মী পিন্টু সরকার। এনিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৬ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষক সেকান্দার আলী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার পরিবার দীর্ঘ প্রজন্ম ধরে ৫৯ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন। তবে জমির মালিকানা নিয়ে একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গত সোমবার বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফয়েজ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন ওই জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সেকান্দার আলী পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ, ধান কাটার কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেও অভিযুক্তরা তা অমান্য করে ধান বিক্রি করে দেন।

সেকান্দার আলী আরও অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে মামলা করায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। গত কয়েকদিনে তার মা সুফিয়া বেগম এবং ভাইয়ের স্ত্রী মোসেদা বেগমকেও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বিএনপির ওই নেতা। এলাকা না ছাড়লে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকিও দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ফয়েজ ভূইয়া বলেন, পিন্টু সরকারের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছে নাসির হোসেন। এতে সে ধান কেটে নিয়েছে। নাসির হোসেন ওই জমিতে ধান রোপণ করেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাসির ধান রোপণ করেনি। বর্তমানে ধান মোস্তফা সরদারের (বিএনপি কর্মী) কাছে জমা রাখা হয়েছে। তবে ভয়ভী‌তি দেখানোর অ‌ভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply