ওয়েল বোল্ড, সাকি…..

|

‘ওয়েল বোল্ড, সাকি’— কথাটি মনে আছে কারও? ১৯৯৫-পরবর্তী সময়ে যারা নিয়মিত পাকিস্তানের খেলা দেখেছেন তাদের কানে নিশ্চয় প্রতিধ্বনিত হওয়ার কথা। বল করছেন পাকিস্তানি অফস্পিনার সাকলাইন মুশতাক আর উইকেটের পেছন থেকে ‘ওয়েল বোল্ড সাকি’ বলে উৎসাহ দিচ্ছেন মঈন খান।

পাকিস্তানি কিংবদন্তি এই স্পিনার সাকলাইন মুশতাকের জন্মদিন আজ। ৪৮ বসন্ত পেরিয়ে ৪৯-এ পা রাখলেন ডানহাতি এই বোলার।

পাকিস্তানের জার্সিতে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে তার উইকেট ৪৯৪টি। রান করেছেন ১৬৩৮। এর মধ্যে ৪৯ টেস্টের ৮৬ ইনিংসে তার উইকেট ২০৮টি। ১৩ বার পাঁচ উইকেটের বিপরীতে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনবার। টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তার একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে।

১৬৯টি ওয়ানডে খেলা সাকলাইন মুশতাক বল করেছেন ১৬৫ ইনিংসে। যেখানে তার উইকেট ২৮৮টি। সাদা বলে ছয়বার তিনি পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ২০ রানে ৫ উইকেট।

সাকলাইন মুশতাক

১৯৭৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন সাকলাইন মুশতাক। ১৯৯৫ সালে ৮ সেপ্টেম্বর পেশোয়ারের আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় সাকলাইনের। ওই টেস্টে দুই ইনিংসেই দুটি করে চারটি উইকেট শিকার করেন তিনি। পাকিস্তানও টেস্টটি জেতে ইনিংস ও ৪০ রানের ব্যবধানে।

একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একই মাসে পাকিস্তানের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সাকলাইন মুশতাকের। অভিষেক ম্যাচে ৫ ওভারে ২৭ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে সাকলাইন তার শেষ ওয়ানডেটি খেলেছিলেন ২০০৩ সালের ৭ অক্টোবর। প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫২ রান খরচা করেও ছিলেন উইকেটশূন্য। পাকিস্তান বৃষ্টি আইনে ম্যাচটি হেরেছিল ১৩ রানে।

পরের বছরই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন এই পাক স্পিনার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলা তার শেষ টেস্টটি মুলতানে শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ। যদিও সেই টেস্টে পাকিস্তান হয়েছিল নাস্তানাবুদ। শেবাগের ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩০৯) ও শচীন টেন্ডুলকারের অপরাজিত ১৯৪ রানের সুবাদে ইনিংস ও ৫২ রানের ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। শেষ টেস্টে সাকলাইন মুশতাক ৪৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ২০৪ রান! উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র একটি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply