ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মধুখালীতে বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরেহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর পৌরসভার শোভারামপুর এলাকার প্রান্ত বিশ্বাস (২২) ও তার ভগ্নিপতি বাধন দাস (২৭)।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মধুখালী উপজেলার ছকরিকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া করে এবং দুই সদস্যকে মারধর করে। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়। এতে এটিএসআই আনোয়ার হোসেন ও সাব ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুক্তা পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ফরিদপুরের দিকে আর মোটরসাইকেলটি মাগুরার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে বাস ও মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বাসটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহীকে প্রায় ২০০ গজ দূরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে দুইজনই প্রাণ হারায়।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়রা বাঁধা দেন। এসময় লাশ প্যাকেট করতে গেলে দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে পুলিশের চেক পোস্ট ছিল, পুলিশ মোটরসাইকেলটি থামার নির্দেশ দিলেও তারা না থেমে ডানে চেপে পালাতে গিয়ে বাসের নিচে চলে যায়। তাদের দাবি, পুলিশের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা হয়েছে।
তবে বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান ওসি সালাউদ্দিন জানান। তিনি বলেন, ওই এলাকা থেকে বেশ দূরে ছিল চেকপোস্ট। পুলিশ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধার কাজে আসে। স্থানীয়রা কেন এমন অভিযোগ করছেন বা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হচ্ছেন তা বোধগম্য নয়।
/এটিএম
Leave a reply