দেশে সরকারিভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসায় একমাত্র ভরসা জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতাল। এই জটিল রোগের চিকিৎসায় রেডিও থেরাপির ভূমিকা অতিগুরুত্বপূর্ণ হলেও হাসপাতালের সবগুলো রেডিও থেরাপি মেশিন এখন বিকল। ফলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রোগীরা।
এই সমস্যার ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ ক্যান্সারের রেডিওথেরাপি। অন্যদিকে কেমোথেরাপির ওষুধ সংকট। হতদরিদ্র রোগীকেও প্রতিটি কেমোর পেছনে গুনতে হয় ৩-৫ হাজার টাকা। একমাত্র সরকারি ক্যান্সার চিকিৎসালয়ের সেবার হাল এখন এমন। শরীরে মারণব্যাধি রোগ বাধলেও প্রাইভেটে চিকিৎসার পয়সা নেই নিম্নবিত্তের। দূর-দুরান্তের রোগীর বেলায় ভোগান্তির মাত্রা কয়েকগুণ বেশি।
দশ বছরের রোমান। ছোট্ট শরীরে বড় রোগের বাসা। চিকিৎসায় হাত খুলে খরচের সক্ষমতা নেই বাবা মায়ের। ভরসা সরকারী ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। বিপত্তি সেখানেও। চিকিৎসক বলেছেন, দশবার রেডিও থেরাপি নিতে। তবে মেশিন নষ্ট থাকায় আটবারের পর আর থেরাপি নিতে পারছে না সে।
কুমিল্লার জাহাঙ্গীর আলম। কেমো নিয়েছেন কয়েক দফা। এবার রেডিও থেরাপির পরামর্শ চিকিৎসকের। কিন্তু ক্যান্সার হাসপাতালে রেডিও থেরাপির সিরিয়াল নেই।
রেডিও থেরাপির সিরিয়াল পেতে এমনিতেও দিনের পর দিন সিরিয়ালের অপেক্ষায় থাকতে হতো। মেশিন বিকল হয়ে পড়ায় রোগীর জট আরও বেড়েছে।
মোট ছয়টি মেশিনে রেডিও থেরাপি দেয়া হতো ক্যান্সার হাসপাতালে। গেলো তিন বছর ধরে চলছে কেবল ২টি। সেদুটিও বিকল দুই সপ্তাহ ধরে।
হাসপাতালের কেমো থেরাপি বিভাগ সচল। কিন্তু সেখানে পকেটের চিন্তায় কপালে ভাজ পড়ছে রোগীর স্বজনের। কেউ আবার ভর্তি হওয়ার বিড়ম্বনায়।
/এটিএম
Leave a reply