চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার: প্রেস উইং

|

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি এই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চলমান থাকবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিবৃতিতে বলা হয়, এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের চুরি হওয়া অর্থের সাথে যুক্ত সম্পত্তি ও সম্পদ, যার মধ্যে আগের শাসনামলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তা সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত। এই অর্থ আত্মসাত থেকে তারা লাভবান হয়েছে এমনটা প্রমাণিত হলে সেই সম্পদগুলো বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

এতে আরও বলা হয়, ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমসকে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক হয়তো লন্ডনে তার ভোগকৃত অর্থ ও সম্পত্তির উৎস পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন তিনি সেটি জানেন। বাংলাদেশের জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

সরকার আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ তদন্ত এবং পুনরুদ্ধার করতেই তাদের সাথে কাজ করছে সরকার। এই ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে গুরুত্বপূর্ণ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে বলা হয়, এই প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের তদন্ত আগের সরকারের দুর্নীতির ব্যাপকতাকে বুঝিয়ে দেয়। তাছাড়া অন্যান্য প্রকল্পে সম্পদের অপব্যবহার দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছে। এর ফলে একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সরকার বিচারের ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়াবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply