জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিলের রায় আজ

|

সাইফুদ্দিন রবিন:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় আজ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এসে যে সাজা হয়ে যায় ১০ বছরের। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে যেতে হয় খালেদা জিয়াকে।

দাতব্য কাজের লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে যে দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়; তার একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সালে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় “প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল” নামে হিসাব চালু করা হয়।

১৯৯১ সালের ৯ জুন একাউন্টটিতে কুয়েত আমিরের পাঠানো বিদেশী অনুদান আসে। এই অনুদানের অর্থ পরবর্তী দুই বছরে কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর, জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, অনুদান এসেছে জিয়াউর রহমানের নামে। টাকা যেহেতু এসেছে, তাই কোথাও না কোথাও টাকাগুলো রাখতে হবে। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে রেখে দেয়া হয়েছে। এরপর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া একটা ট্রাস্ট করে দিলেন।

আলোচিত এক এগারো সরকারের সময় ট্রাস্ট্রের জন্য কুয়েত আমিরের পাঠানো সেই অর্থের প্রায় ২কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে।দায়ের করা মামলায় ২০১৮ সালে দেয়া সাজাকে কেবলই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলছে বিএনপি। যে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২০০৯ সালে। সে বছর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকলেও পরবর্তিতে গতি পায় আবারও।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরও বলেন, অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ ২০০৬ সালে এসে ৪ কোটিতে পরিণত হয়। এখন হয়তো ৭ থেকে ৮ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। সব অর্থই এখন পর্যন্ত ব্যাংকে রয়েছে। তাহলে মামলা দায়ের করার কারণ কি? উত্তর হচ্ছে- সংসদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাঁড়িয়ে বলবে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। সরকারের যুক্ত হলো এই অর্থ গচ্ছিত রাখাই খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের অপরাধ।

হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন-লিভ টু আপিল গেল বছরের ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply