অনেক নাটকের পর দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর রাজধানী সিউলে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে একটি পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিও প্রকাশ করেছে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা। যেখানে ইউন বলেছেন, সহিংসতা এড়াতে তিনি তদন্তকারীদের সামনে এসেছেন। খবর বিবিসির।
এর আগে, তাকে গ্রেফতারে ওই বাসভবনে অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অভিশংসিত হলেও তিনি সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছিলেন।
ভিডিও বার্তায় ইউন বলেন– আজ যখন দেখলাম, তারা অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা করছে, তখন আমি তদন্তকারীদের আহ্বানে সাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
প্রেসিডেন্ট ইউন আরও বলেন– যদিও এটি একটি অবৈধ পদক্ষেপ, তারপরও যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত না ঘটে, সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত। তার মানে এই নয় যে, আমি তদন্ত প্রক্রিয়া মেনে নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারির চেষ্টার পর বিদ্রোহের মুখোমুখি হন ইউন সুক ইওল। কিন্তু জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি এ আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
এর জেরে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্ট থেকে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারীরা এই মাসের শুরুতে একবার ইউনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনিই ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট, যাকে গ্রেফতার করা হলো।
/এএম
Leave a reply