গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি ইসরায়েল-হামাস, মুক্তি পাবে দু’পক্ষের বন্দীরা

|

অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এখনও যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির একটি পর্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধাপে ধাপে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পাশাপাশি হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে মিশর ও কাতার। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের ঠিক আগে চুক্তিটি চূড়ান্ত হলো।

এর আগে, সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনেরই প্রতিনিধি। ক্ষমতার পালাবদলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি কতটুকু পরিবর্তন হবে সেটি অবশ্য সময়ই বলবে।

গাজার প্রধান ফিলিস্তিনি সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদল মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দীদের ফেরতের বিষয়ে নিজেদের সম্মতি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামাস চুক্তির মৌখিক সম্মতি দিয়েছে এবং চূড়ান্ত লিখিত সম্মতি দেয়ার জন্য আরও তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’আর জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ রাতেই ইসরায়েল ফিরে আসছেন। ফিরেই তিনি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও সরকারের ভোটে অংশ নেবেন। সম্ভবত আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে টানা ১৫ মাস চলা এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ধ্বংস হয় আবাসস্থল, হাসপাতালসহ ধর্মীয় স্থাপনা।

/এমএইচ/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply