২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো হ্রাস পেয়েছে চীনের জনসংখ্যা। জন্মের সংখ্যা টানা সাত বছর পর প্রথমবারের মতো কিছুটা বাড়লেও তা মৃত্যুকে ছাড়াতে পারেনি। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানায়। ফলে দেশটিতে বয়স ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনসংখ্যাগত সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ৮২ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সাল থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার কম। এই নিয়ে ২০২১ সাল থেকে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমলো।
২০২৪ সালে দেশটিতে এক কোটি ৯৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল এক কোটি ১১ লাখ। এতে মৃত্যুর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর বিপরীতে গত বছর চীন ৯৫ লাখ ৪০ হাজার নবজাতকের জন্ম তালিকাবদ্ধ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার বেশি। তারপরও জন্মের এই সংখ্যা মৃত্যুকে ছাড়াতে না পারায় জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকছে।
আশির দশক থেকে চীনের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তবে ১৯৬১ সালের পর ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো দেশটিতে জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায় মৃত্যুহার। ১৯৬১ সালে দেশটি বিপর্যয়কর ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ওই বছর এই কর্মসূচির কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে দেশটিতে আনুমানিক দুই কোটি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০২৪ সালে চীনের জন্মহার প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এটি আগে বছরের জন্মহারের তুলনায় প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৩৮ জন বেশি।
চীনের জনসংখ্যা সমিতির সহসভাপতি এবং নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউয়াং শিং জন্মহারের এই বৃদ্ধির জন্য কোভিড-১৯ মহামারীর পর বিয়ে নিবন্ধন বৃদ্ধি পাওয়া ও চীনের শিশুজন্ম সহায়তা পদ্ধতিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
/এআই
Leave a reply