স্টাফ করেসপনডেন্ট, গাজীপুর:
বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে একটি মালভর্তি ট্রাক ও তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগও করে তারা।
এসময় গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা করে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গুরুতর আহত হন দুই গণমাধ্যমকর্মী।
খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত পৌনে আটটার দিকে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বন্ধ কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। সবশেষ গত ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা আর কোনো বিক্ষোভ না করে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দাবি আদায়ে গণসমাবেশের আয়োজন করে তারা।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের একটি পক্ষ চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা সড়কে যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। এ সময়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী একটি ট্রাক ও তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারোব এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করেন। শ্রমিকদের দাবি, কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ করা হচ্ছিল না, যার ফলে এই আন্দোলন শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ১৬টি কারখানা পুনরায় খুলে দেয়ার পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা, এলসি খুলে দেয়া ও তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে দাবি জানান শ্রমিকরা।
/এমএইচআর
Leave a reply