প্রতীকী ছবি।
ফরিদপুর করেসপনডেন্ট:
ফরিদপুর সদর উপজেলায় মিরান নামের এক যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মিরান খান ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর সাদীপুর গ্রামের জালাল খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মিরানসহ কয়েকজন সদরের চরবেষ্টিত গদাধরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে যান। এ সময় ডাকাত সন্দেহে ধাওয়া দিলে মিরান ধরা পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে গনপিটুনি দেয়। পরে আজ শুক্রবার সকালে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই ইরান জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের লোকজনের সাথে মিরানের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তাকে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার ভাইয়ের মাছের ঘের ও বালুর ব্যবসা রয়েছে। সে কেন ডাকাতি করতে যাবে?
ফরিদপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবির হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার আগের মিরান মারা যায়। তার চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, নদীর ওপারে ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয়রা মিরানকে গনপিটুনি দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহত মিরানের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
/আরএইচ
Leave a reply