রিমন রহমান:
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে থমকে গেছে উৎপাদন। সরকারি ও বেসরকারি— সব ক্ষেত্রেই কমেছে কর্মচাঞ্চল্য। সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে আনা হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার। একইসঙ্গে জিডিপির হার কমিয়ে প্রক্ষেপণ করেছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি।
মোট দেশজ উৎপাদন কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আস্থা সংকটে ব্যহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন। আর আর্থিক টানাপড়েনে সরকারি উৎপাদন এগিয়ে নিতে পারছে না সরকার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছিলেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে এখন স্থবিরতা। আবার অন্যদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, এই দুটোর মধ্যে তো একটা সাংঘর্ষিক বিষয় আছে। কাজেই বিনিয়োগের পথে নিয়মতান্ত্রিক যেসব জটিলতা আছে সেগুলো যদি সহজ করা যায়, যেটা আসলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা; তাহলে সংকোচনমূলক মুদ্রা নীতি ও বাজেটকে পরিচালনযোগ্য আকারে রেখে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে।
শুধু আইএমএফই নয়, জিডিপির হার কমিয়ে প্রক্ষেপণ করেছে বিশ্বব্যাংক ও এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পরিবর্তিত এই অবস্থায় সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেয়া হয়েছে এমন পূর্বাভাস।
অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বললেন, আমাদেরকে আরও দ্রুত গতিতে এগোতে হলে সেবা ও শিল্প খাতকে আরও দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে হবে। যাতে আমরা আরও দ্রুত গতিতে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হই।
কমেছে বেসরকারি খাতের উৎপাদনও। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি উৎপাদন ব্যহত হবার অন্যতম বড় কারণ অনিশ্চয়তা।
এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, গ্যাস-ডলারের সংকটে পড়েছি, ব্যাংকের ঋণের সুদ বেড়ে গেছে। এ ধরনের অনেকগুলো সমস্যা হওয়াতে আমরা কিন্তু একটা নাভিশ্বাস অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছিলাম। তারপরে একটা অভ্যুত্থান গেলো। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের উপরেই তো দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি ঘুড়ে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
/এমএন
Leave a reply