চাঁদা না পেয়ে পাহাড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নের অভিযোগ ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে

|

সারাদেশ ডেস্ক:

চাঁদা না দেয়ায় রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলায় একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির ১০টি টাওয়ারে হামলা চালিয়ে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন উপজেলাগুলো হলো খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা এবং রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা।

এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ছয়টি ও রাঙামাটির চারটি মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকায় বর্তমানে কোম্পানিটির কয়েক লাখ গ্রাহক চরম বিপাকে পড়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।

গত ২২ জানুয়ারি ভোররাতে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় ছয়টি মোবাইল টাওয়ারের পাশাপাশি রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে চারটি টাওয়ারে সমন্বিত হামলা চালায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। তারা সার্ভার রুম ভাঙচুরসহ টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর পাশাপাশি বেশকিছু যন্ত্রপাতিও লুট করে নিয়ে যায় তারা।

বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিটির একজন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউপিডিএফ সম্প্রতি টাওয়ার অপারেটরদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে। তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হলে তারা এখানে হামলা চালায়। বর্তমানে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো মোবাইল কানেক্টিভিটি ছাড়াই রয়ে গেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, দাবি মানা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউপিডিএফ। এই চলমান চাঁদাবাজি এবং হুমকি মোবাইল টাওয়ার অপারেটরদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ।

এই ঘটনা শুধুমাত্র পাহাড়ি অঞ্চলে শান্তি ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্নই করে না, বরং চাঁদাবাজি ও সহিংসতার হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল অবকাঠামোকে কাজে লাগানোর একটি বিপজ্জনক নজিরও স্থাপন করেছে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply