প্রতিপক্ষের উইকেট নেয়ার তালিকায় বাংলাদেশ ১২তম!

|

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের ২য় ওয়ানডের আগে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দাড়িয়েছে বোলিং অ্যাটাক। পুরো সিরিজেই চোখে পড়েছে টাইগারদের নখদন্তহীন বোলিং। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, পুরো বছরে প্রতিপক্ষের উইকেট নেয়ার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম!

মোস্তাফিজ ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যাচ্ছে আরো। দলের একমাত্র বোলিং বিকল্প অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।

সিরিজের এখন ঠিক মাঝপথ। বাংলাদেশ দল হয়তো ভাবছে, অভিশপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর যত দ্রুত শেষ হয় ততই মঙ্গল। কেননা খারাপ সময়ে সবকিছুই যেনো হাটে উল্টোপথে।

মুশফিক-মাশরাফিদের পারফরম্যান্সও এখন আতশ কাচের নিচে। টেস্টের পর নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও এসেও বড় ধাক্কা। ব্যর্থতার পেছনে সবচেয়ে বেশী করে চোখে পড়ছে বোলিং দৈন্যতাই।

১ম ওয়ানডেতে ২৭৯ রানে লক্ষ্য তাড়া করা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি উইকেটও নিতে পারেনি টাইগাররা। বোলারদের এই ব্যর্থতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলা বাংলাদেশের বোলাররা ৪ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ১২ উইকেট!

পুরো বছরের হিসাবটা আরো করুণ। ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত ১২ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের শিকার মাত্র ৫৭ উইকেট। যা প্রতিপক্ষের উইকেট নেয়ার তালিকায় ১২তম! এমনকি আরব আমিরাতের মতো দলও মাত্র ৭ ওয়ানডেতেই নিয়েছে ৫৭ উইকেট। সমান ১২ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের শিকার ৮৩ আর ১ ম্যাচ বেশি খেলা আফগানিস্তান নিয়েছে ৯৪ উইকেট।

এ বছর রঙিন পোশাকে ১৩ জন বোলার ব্যবহার করেছে টাইগাররা। যাদের কেউই একবারও ৫ উইকেট নিতে সমর্থ হননি।

কী দেশের মাটি, কী উপমহাদেশ, ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা, সব কন্ডিশনেই মোটা দাগে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। সবশেষ ম্যাচে অভিষেক হলো আরেক পেসার সাইফুদ্দিনের। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। শুধু কপালের ভাজগুলো বেড়ে চলেছে কোর্টনি ওয়ালশের।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply