পূজা-অর্চনা নয়, দেবতাকে ধুমপান করিয়ে তুষ্ট করতে পারলেই পূরণ হবে মনবাসনা!

|

ছবি: সংগৃহীত

পূজা, অর্চনা, ফুল কিংবা ভোগ চড়িয়ে নয়, মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় দেবতাকে ধূমপান করালে। অভিনব কায়দায় প্রাচীন এ আন্দেয়ান দেবতা, একেকোর পূজা করেন পেরুর ইনকা ধর্মাবলম্বীরা।

ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে, হাতে প্রতীকী টাকা গুজে, বাদ্য বাজনা ও নাচের মাধ্যমে করা হয় প্রার্থনা। অনুসারীদের বিশ্বাস, ধূমপান করিয়ে মনের যেকোনো ইচ্ছা জানালে তা পূরণ করেন প্রাচুর্য ও সৌভাগ্যের দেবতা।

রাজধানী লিমায় প্রতিবছর জাঁকজমক আয়োজনে করা হয় একেকোর বন্দনা। প্রবল বাদ্যবাজনার সাথে দেবতার মুখে দেয়া হয় জ্বলন্ত সিগারেট। হাতে গোজা থাকে প্রতীকী নোট। প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধির দেবতার কাছে অভিনব এই উপায়ে জানানো হয় মনের আকাঙ্ক্ষা।

এ বিষয়ে এক ভক্ত বলেন, প্রতিবছর আমরা শ্রদ্ধাভরে এ দিনটি উদযাপন করি। দেবতা একেকোকে ধূমপান করালে তিনি মনের যেকোনো ইচ্ছা পূরণ করেন।

গোলগাল আকৃতির মানবসদৃশ প্রতিকৃতিটিকে পরানো হয় পেরুর ঐতিহ্যবাহী কালো টুপি ও পঞ্চো। ধূপ-তামাকের ধোঁয়া ও ধুনুচি নাচের মাধ্যমে পূজা অর্চনা করে মনের একান্ত আকাঙ্ক্ষা জানানো হয় দেবতাকে।

আরেক ভক্ত বলেন, প্রাচুর্য, সমৃদ্ধি ও উর্বরতার দেবতা একেকো। তিয়াহুয়ানাকো সংস্কৃতি থেকে এ মহান দেবতার উৎপত্তি। আমরা বিশ্বাস করি একনিষ্ট মনে করা যেকোনো চাওয়া পূরণ করেন তিনি।

ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে শুভ লক্ষণ, সৌভাগ্য ও সুখ জীবনের প্রত্যাশায় পূজিত হয় একেকো। অনুসারীদের বিশ্বাস, শুদ্ধমনে চাওয়া সকল মনোবাসনাই পূর্ণ করবেন পরমেশ্বর।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply