বড় স্কোরের আশা জাগিয়েও আড়াইশর আগে অলআউট পাকিস্তান

|

আইসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া এখন আর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখে না ক্রিকেটবিশ্ব। তাইতো ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তাদের প্রতিটি টুর্নামেন্টে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই রাখে। কেননা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা ও উন্মাদনা, সেইসাথে বাণিজ্যও চড়া। দুই দলের মাঠের লড়াই নিয়ে আগ্রহও তুঙ্গে থাকে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মুখোমুখিতে হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। যেই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের তোপে ২৪১ রানেই গুটিয়ে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভালোই খেলছিলেন পাক ব্যাটাররা। দুই উইকেটেই দেড়শও ছাড়ায় পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতে বড় স্কোরের স্বপ্নই দেখেছিল পাকিস্তান শিবির। তবে এই ম্যাচেও দেখা দেয় ‘পুরনো রোগ’- ব্যাটিং বিপর্যয়! যেখান থেকে আর বের হতে পারেনি রিজওয়ানের দল। ১৫০/২ থেকে ২৪১ রানে অলআউট হয়েছে দলটি।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে টুর্নামেন্টটির স্বাগতিক দল পাকিস্তান। ইনজুরিতে ফখর জামান আসর থেকে ছিটকে যাওয়ায় বাবর আজমের সাথে ওপেনে নেমেছিলেন ইমাম-উল হক। শুরুতে দুজন দেখেশুনেই খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে’র নবম ওভারে এই জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে কাভার ড্রাইভে খেলতে গিয়ে গড়বর করে ফেলেন বাবর। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক কেএল রাহুলের হাতে। এতে ভাঙে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি। বাবর আজম করেন ২৩ রান।

বাবরের বিদায়ের পরপরই সাজঘরে ফেরেন ইমাম। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় রানআউটে কাটা পড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ইমাম। তিনি করেন মাত্র ১০ রান। এরপর সাউদ শাকিল ও অধিনায়ক রিজওয়ানের ব্যাটে লড়াই চালায় পাকিস্তান। দুজন খুবই সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন। তাদের ব্যাটে ৩৩ ওভারে দেড়শ পার করে পাকিস্তান। শতরানের এই জুটিতে ব্রেকথ্রু দেন অক্সার প্যাটেল। রিজওয়ান ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতে তাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান প্যাটেল। যদিও আউট হওয়ার আগের বলেই জীবন পেয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তার হাওয়ায় ভাসানো ক্যাচ ছেড়ে দেন হার্শিত রানা। তবে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফেরার পর বেশিক্ষণ আর ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি শাকিলও। অর্ধশতক করা এই ব্যাটার ব্যক্তিগত ৬২ রানে হার্দিকের শিকার হয়ে ফিরে যান। তার ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চারের মার। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুত ফিরে গেছেন তাইয়ুব তাহিরও। ১৫১-২ থেকে ১৬৫/৫ হয় পাকিস্তানের স্কোরকার্ড।

শেষদিকে, সালমান আগার ১৯, নাসিম শাহর ১৪ ও খুশদিল শাহর ৩৮ রানের সুবাদে ২৪১ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ৪০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পান্ডিয়া শিকার করেছেন ২ উইকেট। এছাড়া, একটি করে শিকার করেছেন জাদেজা, অ্যাক্সার প্যাটেল ও হার্শিত রানা।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply