যুক্তরাষ্ট্রে হামের প্রকোপ: এক দশকে প্রথম মৃত্যু দেখলো দেশটি

|

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে প্রায় একদশকে প্রথমবার হামে আক্রান্ত হয়ে একজন মৃত্যু হয়েছে। অঙ্গরাজ্যের অন্তত ১০টি কাউন্টিতে ছড়িয়েছে তীব্র সংক্রামক এই রোগ। টেক্সাস থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগটি এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নিউ মেক্সিকোতেও। দুই অঙ্গরাজ্যে ১৩০ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে হামে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচ্চ জ্বর, চোখ লাল, নাক বন্ধ, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। পাশাপাশি মুখমন্ডল থেকে ফুসকুড়ি ছড়িয়ে পড়ে পুরো শরীরে। শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ানো রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা।

মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দু’জন মারা গেছে। যদিও বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি তিনি। কেনেডি জুনিয়রের দাবি, হামের এই প্রাদুর্ভাব যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলেন, প্রতিদিনই হাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০ জনের মতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি, যাদের মূলত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে, এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রে হাম রোগী দেখা যায়।

২০১৫ সালে হামে সবশেষ মৃত্যু দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য, ২০০০ সালেই হাম নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছিলো দেশটি। নির্মূল হয়ে যাওয়ার এত বছর পর এখন কেনো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হাম?

টেক্সাসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার এমি থম্পসন বলেছেন, মূলত নবজাতক থেকে শুরু করে স্কুল বয়সী শিশুরা হামে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু কিশোরও আক্রান্ত হয়েছে। হাম প্রাণঘাতী ভাইরাস। কাজেই এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। সম্প্রতি ঘন ঘন যুক্তরাষ্ট্রে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এর বড় কারণ টিকা দিতে অনাগ্রহ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিনিদের মধ্যে সন্তানকে টিকা দানে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণেই বেড়েছে প্রাদুর্ভাব। টেক্সাসের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা, নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে হামের এই প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন ছাড়া বাদবাকি কেউই হামের টিকা নেয়নি। অথচ, দুই ডোজ ভ্যাকসিনেই এই রোগ প্রতিহতের সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply