যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘লিবারেশন ডে’ ভাষণে দাবি করেছেন যে তার গৃহীত বৈশ্বিক ট্যারিফ নীতির ফলে চাকরি বাজার বৃদ্ধি এবং কারখানাগুলোতে উৎপাদন বাড়বে। তবে, এই নীতির ফলে পোশাক থেকে ইলেকট্রনিক্স পণ্য পর্যন্ত আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে, যা আমেরিকান ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের প্রযুক্তি গবেষণা প্রধান ড্যান আইভস সতর্ক করেছেন যে, যদি আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা হয়, তাহলে এর দাম বেড়ে হতে পারে প্রায় ৩৫০০ ডলার (বর্তমান দাম ১০০০ ডলার)।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা একটি ‘কাল্পনিক গল্প’ ছাড়া আর কিছুই নয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, প্রেসিডেন্টের এই নীতি ‘বোকামি’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
কেন দাম বাড়বে?
- এশিয়ায় আইফোনের উৎপাদন ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং সাশ্রয়ী।
- যুক্তরাষ্ট্রে এই পুরো সাপ্লাই চেইন স্থানান্তর করতে ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং অন্তত ৩ বছর সময় লাগবে (মাত্র ১০% উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য)।
- ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বা নিউ জার্সিতে ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করলেও খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই নীতির মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত চাকরির বাজার আমেরিকায় ফিরবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এশিয়ার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম ও উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, যা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। আইভসের ভাষায়, ‘এটি একটি অর্থনৈতিক স্বপ্নমাত্র, যা বাস্তবে রূপান্তর করা কঠিন’।
/এআই
Leave a reply