যশোরে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রথম উদ্যোক্তা মাহবুব জামাল শামীমকে সংবর্ধনা

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, যশোর:

উৎসব, আনন্দ আর বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে যশোর। বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ বরণ করতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে যশোর জেলা প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ ৩২টিরও অধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যশোর কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থান করে। সেখানে দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রার প্রথম উদ্যোক্তা চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাহবুব জামাল শামীমের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যশোরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুভূতি প্রকাশকালে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম বলেন, এ সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। যশোরের সব সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মী, রাজনীতিবিদসহ গোটা দেশবাসীর। যশোর থেকে শুরু হওয়া পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আজ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিরা সাড়ম্বরে পালন করছে। এ আনন্দ আজ সবার। আজকের এ সম্মাননায় আমি আনন্দিত।

এর আগে ১৯৮৫ সালে পহেলা বৈশাখে যশোরে প্রথম এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তখন ক্ষমতায় ছিলেন সামরিক শাসক এরশাদ। উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামীম ছিলেন এর প্রধান উদ্যোক্তা। পরে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এটি ঢাকায় শুরু হয়। তখন এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। 

শোভাযাত্রার মূলভাব ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ শোভাযাত্রার মূল আয়োজক ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নতুন বছরে দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে বক্তৃতা করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান প্রমুখ।

জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ এসো এসো গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সম্মাননা অনুষ্ঠানের পরপরই দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় শহরে একটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে বেরিয়ে বকুলতলা, দড়াটানা, চৌরাস্তা, কেশবলাল সড়ক হয়ে যশোর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সব বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ উৎসব দেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করবে এমনটাই আশা সকলের।

/এএইচএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply