নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে বেড, কাঁথা, বালিশ বিছিয়ে ও লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন।
এর আগে রোববার দুপুর ২টায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলার ও ভাঙচুর করা হয়। কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ির সরাতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ নেতাকর্মী।
এরপর ঘটনার প্রতিবাদে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন। হামলাকারীদের আটক এবং কালিহাতী ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকী হামলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর কর্মীদের দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সোহেল হাজারীর নির্দেশে স্থানীয় চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার, তোতা ও তার ছেলের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার নির্ধারিত সভা ছিল গোহালীয়াবাড়ি। সেখানে গাড়ি বহর পৌঁছামাত্র ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল মারা শুরু করে। সেখানের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে দুর্বৃত্তরা মিছিল নিয়ে সেই বাড়িতেও হামলা করে। তারা আমার চারটি গাড়ি ভেঙে চুরমার করে দেয়। অনেকে আহত হয়েছেন। এই হামলায় কালিহাতী থানার ওসির প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। তাই নির্বাচন করতে এসেছি। জনগণ যে রায় দিবে তা মাখা পেতে নেব। কিন্তু এখন দেখছি ভয়াভহ ব্যপার। তিনি বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের নিশ্চয়তা না পেলে আমি এখান থেকে উঠব না। কালিহাতীতে অবস্থান করলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণ দুর্ভোগে পড়বে। সরকার বিব্রত হোক আমি তা চাই না। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় লতিফ সিদ্দিকীর কাছে গিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন।
Leave a reply