শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনকে জামায়াত নিয়ে প্রশ্ন করে তোপের মুখে পড়া যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক ভাস্কর ভাদুরীকে অভয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা শেষে বের হয়ে যাওয়ার পথে ডেকে নিয়ে এই সাংবাদিককে তার স্বাভাবিক কাজ নির্ভয়ে চালিয়ে যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে ভাস্কর ভাদুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে ওই দিনের পুরো ঘটনা শুনলেন। তিনি আমাকে নির্ভয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ড. কামাল হোসেনের অতীতের বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, উনারা যদি এভাবে সাংবাদিকদের ‘খোমোশ’ বলে থামিয়ে দিতে চান তাহলে তারা ক্ষমতায় এসে কী বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে তা মানুষের জানা হয়ে গেছে।
ভাস্কর আরো জানান, তার সঙ্গে ৫-৭ মিনিট কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বারবার প্রধানমন্ত্রী তাকে অভয় দেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন স্নেহশীল আচরণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভাস্কর ভাদুরী।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একজন সাংবাদিকের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে ১৪ তারিখের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, আলোচনা হয়েছে। আজকের সভায়ও বক্তারা সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে যাওয়ার সময় আমরা বলি ওই সাংবাদিক এখানে আছেন। পরে তিনি ওই সাংবাদিককে ডেকে নেন এবং ওই দিনের পুরো ঘটনা শুনেন। তিনি ওই সাংবাদিককে অভয় দেন। একই সঙ্গে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবসময় পাশে থাকবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুুয়ারি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে ড. কামালের অবস্থান কী জানতে চাইলে ওই সাংবাদিকের ওপর চটে যান তিনি। সাংবাদিকদের কথার জবাব না দিয়ে বরং পাল্টা প্রশ্ন করেন ড. কামাল। তিনি বলেন, কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্নগুলো করতে? তিনি আরও বলেন, চুপ করো। চুপ করো, খামোশ।
শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিকের নাম জানতে চেয়ে ড. কামাল আরও বলেন, তোমার নাম কী? কোন পত্রিকা। জবাবে ওই সাংবাদিক ‘যমুনা’ বললে তিনি জবাব দেন, যমুনা টেলিভিশন, চিনে রাখলাম।
তবে, পরেরদিন এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেন।
Leave a reply