নোয়াখালীর দ্বীপ জেলা হাতিয়ার অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাগরে মাছ শিকারে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন তাদের অলস সময় কাটছে। জেলেদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য নেই। কেউ নৌকা মেরামত করছেন, আবার কেউ জাল বুনছেন।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন এই সময়ে জেলেদের মধ্যে সরকারি চাল বিতরণের কথা। কিন্তু জেলেদের অভিযোগ, এখনও সেই সহায়তা পাননি তারা। এতে ধার-দেনা করে তাদের সংসার চলছে।
জেলেরা জানান, হাতিয়ায় কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। প্রত্যেকটি ট্রলারে ১৫ থেকে ২০ জন কাজ করে থাকে। এ বছর এখন পর্যন্ত কোনও সহায়তা পাননি তারা। ফলে ধার-দেনা করে চলতে হচ্ছে তাদের। জেলে কার্ড থাকার পরেও চাল পাচ্ছেন না তারা। এ সময় আসল জেলেরা সহায়তা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন জেলেরা।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, চার হাজার ৮৭৩ জন জেলের জন্য ২৭৩ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ এসেছে। মৎস্য অধিদফতর ও উপজেলা প্রশাসন খুব শিগগিরই জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করবে।
স্থানীয় মৎস্য অফিসের হিসেবে, হাতিয়ায় ২৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তবে এর বাইরেও অনেকে মাছ শিকারে জড়িত।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ জুন শেষ হবে।
/আরএইচ
Leave a reply