প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় স্টারলিংককে দুইটি শর্ত দেয়া হয়েছে। তা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং ডিভাইসের জন্য অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিনিউকেশন আইনের বিধান মানতে হবে।
তিনি বলেন, অনাপত্তিপত্রের কারণে অনুমোদহীন ডিভাইস দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে পারবে না। এক্ষেত্রে হাজার হাজার ডিভাইস আলাদা করে এনওসি দিতে জটিলতা তৈরি হবে। তাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ডিভাইসগুলোকে এনওসি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হওয়ার কারণে কোনও ট্রান্সমিশন, কোর বা এক্সেস নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয় না। ফলে এই নেটওয়ার্ক কীভাবে সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিটি সংযোগের জন্য স্টারলিংককে ১ ডলার ভ্যাট দিতে হবে। ডিভাইসের বিপরীতে অনাপত্তিপত্র নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি সম্ভব হবে।
স্টারলিংক ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ কিংবা শাটডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন দেখেছি। সেই দিক থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভাবেনি। ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এটি বন্ধের ফলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট বন্ধ করতে চায় না সরকার। সাইবার নিরাপত্তা আইনে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকার সেভাবে আমলে নেয়নি।
/আরএইচ
Leave a reply