জামিন পেয়ে আবারো কারাগারে ১২ বিএনপি নেতা

|

ভৈরব বিএনপির ১২ নেতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও কারাগার থেকে বের হতে পারলেন না। শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাদেরকে আবারো কারাগারে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভৈরব বিএনপির সাত নেতাকর্মী কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

বিএনপির নেতারা হলেন- ভৈরব উপজেলা যুবদল সভাপতি জুবায়ের আফজাল, সাধারণ সম্পাদক সহীদুল হক ইমন, পৌর যুবদল সভাপতি হানিফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান, ৮ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি রাজু আহমেদ, সবেক পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মো. আক্তারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা মো. নুরুজ্জামান।

এর আগে ভৈরব বিএনপির আরও ৫ কর্মীকে ভৈরব থানা পুলিশ অপর একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে। এরা হলো আলমগীর মেম্বার, খালেদ মিয়া, নুরুজ্জামান খাঁন, ফারুক মিয়া ও মুর্শিদ মিয়া।

কারাগার কর্তৃপক্ষ বিএনপির নেতাদেরকে শুক্রবার জানান, ১২ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও ভৈরব থানার মামলায় তাদেরকে কারাগারে আটক রাখতে হবে। গত বৃহস্পতিবার ভৈরব থানা পুলিশ উল্লিখিত পুলিশ অ্যাসোল্ট মামলায় তাদেরকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে পত্র পাঠায়।

আদালত থেকে ওইদিন বিকালেই তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে আদেশটি পাঠানো হয় বলে কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়। এ কারণে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পুলিশ অ্যাসোল্ট মামলায় কারাগারে আটক থাকবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।

ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করছে। আমরা উচ্চ আদালত থেকে বারবার জামিন নিয়েও জেল জুলুম থেকে বাঁচতে পারছি না। আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণা থেকে বিরত রাখতেই সরকার কৌশলে পুলিশকে দিয়ে এ নির্যাতন জুলুম করছে।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফুল আলম জানান, পুলিশের এ ধরনের নির্যাতন আল্লাহ সহ্য করবে না। পুলিশ বারবার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে আমাকেসহ আমার নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েও ১২ জন নেতাকর্মী শুক্রবার কারাগার থেকে বের হতে পারল না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply