অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইউএসএ। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ইরানের বিরুদ্ধে শনিবার (২২ জুন) মার্কিন বিমান হামলার পর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি শনাক্তে গোয়েন্দা তথ্য অনুসরণ করছে। এক প্রতিবেদনে ইউএস সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এফবিআই এবং অন্যান্য ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় সংস্থাগুলো ইরান বা তার মিত্রদের যেকোনো প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে।
এছাড়াও নিউ ইয়র্ক সিটি ও ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ ফেডারেল অংশীদারদের সাথে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করছে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, ‘আমেরিকান হোমল্যান্ড রক্ষায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করব।’
এদিকে, ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীতে কোনো জানা হুমকি না থাকলেও তারা বাসিন্দা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পর্যটকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।
হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও ইসরায়েলি দূতাবাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক স্থানগুলোতে অতিরিক্ত সুরক্ষা মোতায়েন করেছে।
ইরানে হামলার আগেই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন যে ইরানের পক্ষ থেকে যেকোনো সময় হুমকির মাত্রা বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ইরান সরাসরি হামলার বদলে তার সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে পারে।
যদিও এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি শনাক্ত হয়নি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগামী কয়েক দিনকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেকোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
/এআই
Leave a reply