সুদের জ্বালা সইতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা!

|

সুদখোরের ক্রমাগত হয়রানির প্রতিবাদে স্ত্রী ও দুই বাচ্চাসহ গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছে এক ব্যক্তি । ওই ব্যক্তি মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকলেও মারা গেছেন তার স্ত্রী-সন্তান।

সোমবার দুপুরে ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার কালেক্টর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের কর্তা দিনমজুর এসাকিমুথু শরীরে ভয়ানক পোড়া নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তবে প্রাণ গেছে স্ত্রী সন্তানদের।

সুদখোরের হয়রানির বিরুদ্ধে বারবার নালিশের পরও পুলিশ-প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এমন কাণ্ড ঘটায় পরিবারটি। ঘটনার দিন তারা ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর অফিসের গিয়েছিল এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে। হঠাৎই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় এসাকিমুথুর। স্ত্রী, চার বছর ও দুই বছর বয়সী দুই কন্যার গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পাশাপাশি নিজের গায়ে দেন আগুন। পুলিশ ও জনসাধারণ ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মারা যায় এসাকিমুথুর স্ত্রী সুব্বুলাক্ষী ও দুই কন্যা।

এসাকিমুথুর ভাই গোপী জানায়, সে কয়েকবছর মুথুলাক্ষী নামের এক সুদখোর থেকে ১.৪৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। বিপত্তি বাধে ফেরত দেয়ার সময়। মুথুলাক্ষী দ্বিগুণ টাকা দাবি করে তাকে হয়রানি করতে থাকে। এ বিষয়ে এসাকিমুথু থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। উল্টো সুদখোর মুথুলাক্ষী এসাকিমুথুর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করে বসে। প্রতিকার না পেয় অসহায় ক্ষিপ্ত পরিবারটি শরীরে আগুন দিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালো।

যমুনা অনলাইন : টিএফ

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply