সালমা ইসলামসহ জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

|

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামসহ জাতীয় পার্টির চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

অ্যাডেভোকেট সালমা ইসলাম ছাড়া অন্য তিন সদস্য হলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার।

প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্বাচন কমিশনে চার প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চার সদস্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

সোমবার সকালে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির চার সদস্যের মনোনয়ন দেন পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বৈধতা পাওয়া চার প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডেভোকেট সালমা ইসলাম এর আগেও দুবার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। সবশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন।

সালমা ইসলাম বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৪ মার্চ। আজ মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৪৩, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি চার, বিএনপি এক, ওয়ার্কার্স পার্টি এক ও অন্যান্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র তিনটি আসনের বিপরীতে একজন প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। বিভিন্ন দল থেকে ইতিমধ্যে ৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা যায়,সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে ভোটের জন্য ওই দিন নির্ধারণ করে রাখা হলেও ফল জানা যাবে তার আগেই। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয় তিনিই এমপি নির্বাচিত হন।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়।প্রতি ৬টি আসনের বিপরীতে যে কোনো দল বা জোট একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হয়ে থাকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply