পুলিশের সাইবার ক্রাইমে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জেসিয়ার অভিযোগ

|

পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম। নিজের নামে খোলা ফেসবুকে অসংখ্য ফেইক আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ইউনিটের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জেসিয়া বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমাকে নিয়ে কিছু ফেইক ভিডিও বানিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রীমহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ইন্টারনেটে ভুয়া কন্টেন্ট ছড়াচ্ছে। মূলত এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটে এ অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আশাবাদী, শত আস্থার এই প্রতিষ্ঠান এই খারাপ লোকগুলোকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে এবং ওইসব ভুয়া কন্টেন্ট ইন্টারনেট থেকে মুছে দেবে।’

জেসিয়ার দায়ের করা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম।

জেসিয়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি মারাত্মক অপরাধ। কারও নামে ফেক আইডি তৈরি করে ভুয়া কনটেন্ট ছড়ানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জেসিয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। এরই মধ্যে কয়েকটি আইডির ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি। এবং তাদের অবজারভেশনে রেখেছি। শিগগিরই এসব অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

সাইবার সিকিউরিটি প্রসঙ্গে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেশের মানুষকে নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দিতে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন সদা তৎপর। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন হ্যাকারসহ সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। কেউ যদি সাইবার অপরাধী দ্বারা আক্রান্ত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের কাছে নিশ্চিন্তে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ রইল।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply