কাল শপথ নিচ্ছেন সুলতান মনসুর-মোকাব্বির

|

কাল শপথ নিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত দুই সদস্য। এ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে গণফোরাম ও তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে গণফোরাম। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে জোট বাছাইয়ে আরো সর্তক থাকার কথা বলছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা শপথ নিলে তাদের কী পরিনতি হবে দল থেকে বহিষ্কার নাকি সংসদ সদস্য পদ বাতিল ? তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে আইনজ্ঞদের।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে, এক ধরণের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আর সংকটের মধ্যে যাত্রা শুরু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। ভিন্ন আদর্শের, নানা দল একটি প্ল্যাটফর্মে আসায়, অনৈক্যের সুর ছিল শুরু থেকেই। সবশেষ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়, গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে।

প্রশ্ন ওঠেছে, দলের ভেতর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে, দেশজুড় বৃহত্তর ঐক্য গঠনে কতটা সক্ষম হবে গণফোরাম? দলীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে যারা প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে-ই বা কী সিদ্ধান্ত নেবে ড. কামাল হোসেনের দল?

মনসুর ও মোকাব্বিরের শপথ ঘিরে ভীষণ অস্বস্তিতে বিএনপিতেও। এমনিতে নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্টের কার্যকরিতা আর উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে অনেক নেতা-কর্মীর।

মনসুর-মোকাব্বির শপথ নেয়ার আগ-মুহূর্তেও নানা বিশ্লেষণ চলছে, আইনি বৈধতা নিয়ে। ড. শাহদীন মালিক মনে করেন, তাদের শপথ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের মৌলিক চেতনা বিরোধী।

যদিও ড. মালিকের সাথে কিছুটা দ্বিমত সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। নির্বাচিত দুই সদস্যের শপথে গণতন্ত্রের পথ সুগম দেখছেন তিনি।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। আর মোকাব্বির হোসেন সিলেট-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply