কে এই মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট?

|

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। ২০১৭ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের ২য় প্রধান শহর ডানেদিনে বসবাস করে আসছিলো। স্থানীয় এক পত্রিকা জানায়, ব্রেন্টন ট্যারান্ট একটি আর্মস ক্লাবের সদস্য ছিলেন, সেখানে তিনি শুটিং প্রাকটিস করতেন।

ব্রুস রাইফেল ক্লাবের সহ সভাপতি স্কট উইলিয়াম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ট্যারান্ট এই ক্লাবের সদস্য এবং তিনি এআর-১৫ রাইফেলের গুলি চালানো শিখতো।

জানা যায়, মেলবোর্নের কাছে এই ব্রুস রাইফেল ক্লাবে ২০১৮ সালে সদস্য হয় ট্যারান্ট। তিনি প্রায়ই ক্লাবে প্রাকটিসের জন্য যেতেন, ট্যারান্টকে স্বাভাবিক দেখা যেতো বলেই জানান ক্লাবের কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বুলগেরিয়ান পত্রিকা জানায়, গত বছরের ৯-১৫ নভেম্বর বুলগেরিয়া গিয়েছিলো ট্যারান্ট। দুবাই থেকে বুলগেরিয়া যায় তিনি। একটি গাড়ি ভাড়া করে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন শহরে ঘুরেন ট্যারান্ট। তখন বুলগেরিয়া থেকে হাঙেরী যায় তিনি। আরও জানা যায়, ট্যারান্ট পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছিলেন।

এদিকে আজ হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে হত্যা মামলায় রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ট্যারান্ট আল নূর মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিলো না মূলত:ডানেদিনের আল হুদা মসজিদে হামলা করতে চেয়েছিলো।

ট্যারান্টের প্রতিবেশি জানায়, ট্যারান্ট বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকতো। মাঝে মাঝে হাঁটতে বের হতো ও জিমে যেতো।

ট্যারান্টের কাছে ২০১৮ সাল থেকে এ ক্যাটাগরি অস্ত্রের লাইসেন্স ছিলো। এই লাইসেন্সের কারণে যে কোন ধরণের অস্ত্র তিনি কিনতে পারতেন।

অস্ট্রেলিয়ার নদী তীরবর্তী শহর গ্রাফটনে তার পরিবারের সাথে বাস করতেন। এলাকায় তিনি শরীরচর্চার জন্য পরিচিত ছিলো। স্থানীয় জিমে ট্রেনার হিসেবে কাজ করতো।

২০১০ সালে তার পিতা ক্যান্সারে মারা যায়। বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ পায়। তখনই বিশ্ব ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ বছরের ট্যারান্ট ২০১২ সালে পৃথিবী ভ্রমণের বেড়িয়ে পরার আগে অস্ট্রেলিয়ার গ্রাফটনে বাস করতো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply