নির্বাচিত হলে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি মোদির

|

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার আজ সোমবার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার আজ সোমবার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোদি দল। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি হল, আবারও ক্ষমতায় এলে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধন করা হবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ দেয়া হবে। গত কয়েক বছর ধরে একই ইস্যু ভারতের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত। বর্তমানে এটি বিল আকারে রয়েছে। এখনও বিধান সভায় পাশ হয়নি। মোদি প্রতিশ্রুতি দিলেন দিনি জিতলে সেটাকে আইন হিসেবে পাশ করাবেন।

ইশতেহার অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

ইশতেহারকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, ‘সংকল্প পত্র’ বলছে বিজেপি। ইশতেহারে ২০২০ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

দলটির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের উন্নয়নের জন্য ৫০টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সময় মোদি দেশকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সংকল্প পত্র’ তৈরির সময় আমরা ৬ কোটি মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। ২০১৪ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ভারত বিশ্বে ১১তম অর্থনীতির দেশ ছিল। এখন এই অবস্থান পাঁচে এসে দাঁড়িয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, অন্য রাজনৈতিক দল তাদের ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং উতরে গেছি।

২০১৪ সালে ৯ ধাপের নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরুর দিন ইশতেহার প্রকাশ করেছিল বিজেপি।

এবার নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দল তার ইশতেহার প্রকাশ করতে পারবে না। এর পরই এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply