সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কর্তৃক যৌন হয়রানি, তারপর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা এবং অতপর সেই আগুনে পুড়ে ৫ দিন হাসপাতালে কাতরিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া- এসবের জন্যই নাকি নুসরাত নিজেই দায়ী। এমন মন্তব্য এক কলেজ অধ্যক্ষের। ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের সেই অধ্যক্ষের নাম তাহমিনা বেগম।
অধ্যক্ষা তাহমিনার বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ করেছেন তারই ছাত্রীরা।
একাধিক ছাত্র আজ শনিবার ফেসবুকে নিজেদের একাউন্টে পোস্ট করে জানিয়েছেন, তারা সকালে নুসরাতের হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলেন। তার আগে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অনুমতি চাইতে তার কক্ষে গিয়েছিলেন কয়েকজন ছাত্রী।
ফেসবুকে পোস্ট করা এক ছাত্রীর দাবি মতে, তখন মানববন্ধনের অনুমতি না দিয়ে বরং উল্টো নুসরাতকে সব কিছুর জন্য দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন অধ্যক্ষ তাহমিনা।
ওই ছাত্রী লিখেছেন, “নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ব্যানারে আমরা একটা মানববন্ধন করতে কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগমের কাছে শনিবার সকাল ৯টায় অনুমতির জন্য গিয়েছিলাম। আমরা কয়েকজন ম্যাডামের রুমে যাই। তারপর ম্যাডাম যা বললেন তা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমরা কেউই। ম্যাডাম আমাদের বললেন নুসরাতকে তার স্যার বলেছিল পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেবে, তাই নুসরাত নিজ ইচ্ছায় স্যারের কাছে গিয়েছিল। অথচ এতদিন ধরে আমরা জেনে আসছি কলেজের পিয়নকে দিয়ে নুসরাতকে ডাকা হয়েছে। তবে কি আমরা এতদিন ভুল জানতাম? আমাদের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছে মিডিয়া? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা হয় আমার। কে দেবে এসব প্রশ্নের উওর? কোথায় পাব এসবের উওর? আমাদের ম্যাডাম আরও বলেছেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে ঘটতেছে, কারণ বর্তমান মেয়েরা অনেক লোভী। নুসরাত মেয়েটা ধোয়া তুলসী পাতা না। মেয়েটার সঙ্গে যেটা হয়েছে তার জন্য মেয়েটাই দায়ী। এটার জন্য মানববন্ধন করতে আমি কখনও অনুমতি দেব না। তোমরা ক্লাসে যাও।”
Leave a reply