বগুড়ায় বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ড: ২০ ঘণ্টায়ও আটক হয়নি কেউ

|

বগুড়া ব্যুরো

বগুড়া শহরের ধরমপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ধরমপুর খেলার মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।

রোববার রাতে শহরের উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন এই বিএনপি নেতা।

রাজনৈতিক নাকি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন এই পরিবহন ব্যবসায়ী- তা নিয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে বিএনপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন শাহীন।

বিকেল ৪টার দিকে শাহীনের মরদেহ আনা হয় শহরের নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে তিন দিনের শোকসহ শোক-পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আসরের নামাজের পর ধরমপুর এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।

এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত কেউ আটক না হলেও, সোমবার সকাল থেকে দিনভর উপশহর বাজার এলাকায় ঘটনাস্থলের চারদিকে তৎপর দেখা গেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে। আশপাশের ভবনগুলোর সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয়দের সাথেও কথাও বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলের মাত্র এক কিলোমিটার উত্তরেই ধরমপুর এলাকায় শাহীনের বাড়ি। রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক কাজ সেরে তিনি বাড়ি ফেরার পথে বেশিরভাগ রাতেই উপশহর বাজার এলাকায় চায়ের দোকানে বসতেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী যমুনা নিউজকে জানান, শাহীন একধারে বিএনপি নেতা, আইনজীবি এবং পরিবহণ ব্যবসায়ী নেতাও ছিলেন। তাই গত উপজেলা নির্বাচনের দ্বন্দ্বসহ রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি তার ব্যবসায়ীক মতবিরোধের বিষয়টি মাথাও নিয়েও তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে শাহীনের বড় ভাই ফেরদৌস রহমানের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে চলা মোটর মালিক গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরেই তার ভাই খুন হয়েছেন। তার রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব কারো সঙ্গে ছিলো না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে, অ্যাডভোকেট শাহীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে আদালত এলাকাতেও। দুপুরে বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস বার সমিতি আদালত এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে আইনজীবিরা আদালত এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে তারা অবিলম্বে শাহীন হত্যায় যুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply