নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভাঙা হবে বিজিএমইএ ভবন

|

সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চীনা বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নিয়ন্ত্রিত বিষ্ফোরণের মাধ্যমে অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হবে বলে জানিয়েছে রাজউক কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য জানান ভবন ভাঙার কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

এদিকে বহুতল ভবনটি থেকে মালামাল সরিতে নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রাক, পিকআপ, ভ্যানগাড়িতে করে নিজ নিজ অফিসের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে বিজিএমইএ ভবনে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

ভবন মালিকদের অনুরোধ আজ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মালামাল সরানোর সময় দেয়া হয়েছে। ৫টার পর ভবন সিলগালা করে দেয়া হবে।

বিজিএমইএ ভবনে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিসও রয়েছে এখানে। ব্যাংকের ভল্টে টাকাসহ অফিসের অন্য মালামাল সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

সকালে বিজিএমইএ বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করে। রাজউক আগের দুই ঘণ্টা সময়ের সঙ্গে আরও এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেয় মালামাল সরানোর জন্য।

এরপরই ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইনসহ সব ইউটিলিটি সার্ভিসের সংযোগ বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

‘বিজিএমইএ ভবন’ অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।

এ বিষয়ে করা রিটের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, হাতিরঝিলে খালের ওপর নির্মিত বহুতল ভবন অপসারণে বিজিএমইএকে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। ইতিমধ্যে বিজিএমইএ ভবন থেকে তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে বলে শুনেছি।

জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিলেন হাইকোর্ট। ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। ভবনটি টিকিয়ে রাখতে বিজিএমইএ নেতারা বহু চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘ আট বছর মামলা লড়ে পরাজিত হন তারা।

ভবনটি সরাতে একাধিকবার সময় নেয় বিজিএমইএ। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমির ওপর ১৩তলা ভবন নির্মিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে নতুন এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬ তলার নির্মাণকাজ শেষ হওয়া ভবনটির পুরো কাজ শেষ হতে পারে ২০২০ সালের জুনে। তবে কয়েকটি তলার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় ও আদালতের বাধ্যবাধকতা থাকায় চলতি মাসেই বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় উত্তরায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply