নদ-নদীর সর্বগ্রাসী রূপ: পানিতে ডুবে নিহত ২৩

|

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি। ঢলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসল। এমনকি পানিতে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন অনেকে। বন্যার কারণে গত তিন দিনে বিভিন্নভাবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। বন্যা দেখা দিয়েছে মধ্যাঞ্চলেও।

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি।

এদিকে, যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় শিব নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। বাগমারা উপজেলায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৫টি ইউনিয়ন।

নওগাঁর আত্রাইয়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১০টি ইউনিয়ন। দিনাজপুরে পুনর্ভবা নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ৯১ সে.মি. ও জামালপুর বাদুরাবাদ পয়েন্টে ১১৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নেত্রকোণার কংস নদের জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮২ সে.মি., উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ১০০ সে.মি., সোমেশ্বরী নদীর পানি ৪৫ সে.মি. ওপর দিয়ে বইছে।

এক সাথে বন্যা ও নদী ভাঙনে দিশেহারা মানুষ এখন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পালাচ্ছে। বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণের সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।

/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply