পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা অবস্থান করবে ফণি

|

অতিপ্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়ে ফণি বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন, তাদের একটি ভালো পরিস্থিতিতে ঘরে ফিরিয়ে নিতে হবে। এটি নিম্নচাপে রূপ নেয়ার আগে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ফনি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব দিকে ভারতীয় অংশের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে আবহাওয়ায় যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে এটি এখন বাংলাদেশের স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে এবং নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত কিছুটা শঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, ঝড়টি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় দমকা, ঝড়ো কিংবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে রংপুর, রাজশাহীতে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

‘আমরা আবহাওয়া পূর্বাভাসকে আগাম ব্যবহার করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাটা করেছি। উপকূলের সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি শূন্যের কোঠায় অথবা সহনশীল মাত্রা নিয়ে এসেছি।’

তার মতে, ঘূর্ণিঝড়টির যে তীব্রতা, এর চেয়েও যদি বেশি তীব্র হতো, তাতে ঝুঁকি বেশি হতো, আমাদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশিই থেকে যেত।

‘ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আপাতত কেটে গেছে। এখন যারা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন, তাদের একটি ভালো আবহাওয়ার ভেতর ঘরে ফিরিয়ে নিতে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি, এমন এক বৃদ্ধা ও তার নাতনি একটি বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন, সেই বাড়ির ছাদ ধসে গিয়ে তারা নিহত হয়েছেন। কাজেই তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেন, তবে এই ঘটনাটি ঘটত না। কাজেই আমরা অসতর্ক হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা সবদিকে সতর্কতামূলক অবস্থানে ছিলাম, প্রস্তুতি ছিল, উড়িষ্যার মতো অবস্থা বাংলাদেশে হয়নি। ঘর্ণিঝড়টি আর পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের যে স্থলভাগ আছে, সেখানে অবস্থান করবে।

সংবাদ সম্মেলনের সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রস্থল ছিল চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা ও টাঙ্গাইলে। ঝড়টি যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, গতি এখনও তার চেয়ে বেশি বাড়েনি। আর যেটুকু বেড়েছে, সেটা বলার মতো না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply