ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে যত অভিযোগ

|

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শিবির কোটাধারীদের স্থান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের পর এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিত) অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

সাঈফ বাবু বলেন, তারা (শোভন-রাব্বানী) একটি বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করেছেন। আপনারা জানেন, এই কমিটিতে শিবির কোটাধারীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা ক্যাম্পাসে বিগত ১০ বছরে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং করেছে, ডাকসু নির্বাচনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা করেছে তাদের এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, গত কমিটির ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনকে কোনো পদ-পদবি দেয়া হয়নি। আমরা শেখ হাসিনা কাছে একটি দাবি জানাতে চাই, এই বিতর্কিত কমিটিতে যারা বিতর্কিত তাদের বাদ দিয়ে যারা প্রকৃত ছাত্রলীগ তাদের যেন স্থান দেয়া হয়।

এছাড়া ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা সংগঠনের গঠনতন্ত্রের নিয়ম মানে না, তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমরা যখন এর বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করি তখন ছাত্রলীগের কিছু গুন্ডা ও অছাত্র আমাদের ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তারের ওপর হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেনসহ অনেকে।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিত) অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

এরআগে এদিন বিকালে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ সম্পাদক ও উপসম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply