গাইবান্ধায় ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ : সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি গ্রেফতার

|

???????????????????????

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায় ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত আসামি সোহেল আকন্দকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিকে সনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গেটে অবস্থিত কাটাখালি হোটেল থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোহেল আকন্দ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাপাকান্দি মাটেরহাট গ্রামের সিরাজুল ইসলাম আকন্দের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ মে সন্ধ্যায় ১১ বছরের শিশুটি তার দাদার সঙ্গে বাড়ি থেকে ফাঁসিতলা বাজারে ডাক্তার দেখাতে আসে। ডাক্তার দেখানো শেষে বাজারের সুশীল নামের এক মুদি দোকানের সামনে শিশুটিকে রেখে বাজারের ভিতরে যায় তার দাদা। এসময় সোহেল আকন্দ শিশুটিকে ফুসলিয়ে বাজারের পশ্চিম পাশে একটি আঁখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে নির্যাতিত শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায় সোহেল। এরপর স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, শিশুটির দেওয়া জবান বন্দি অনুযায়ী আসামিকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিলো না। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হলে নির্যাতিত শিশুটি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর থেকে আসামিকে সনাক্ত ও তাকে গ্রেফতারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর অভিযুক্ত সোহেলকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। আসামি সোহেল গোবিন্দগঞ্জের মায়ামনি হোটেলে কাজ করতো। এসময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ছবি দেখে শিশুটি সোহেকে সনাক্ত করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযুক্ত আসামি সোহেলকে হাজির করা হয়। সোহেল শিশুটিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানানো হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, নির্যাতনের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামি সোহেলকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামি শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ধর্ষণের মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আদালতে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply