শিরোপা জয়ের পর যা বললেন মাশরাফী

|

ট্রাইনেশন সিরিজ জয়কে বিশ্বকাপের আগে বড় এক আত্মবিশ্বাস বলছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। যার বড় কৃতিত্ব দিলেন দলের ব্যাটনসম্যানদের। বোলারদের পারফরম্যান্স খুশি করতে না পারলেও ইংল্যান্ডে একই রকম কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে সেটিও মনে করিয়ে দিলেন টাইগার অধিনায়ক।

ট্রফি বুঝে পেয়ে যক্ষের ধনের মতোই বুকে আগলে নিলেন মাশরাফী; আর মুশফিক তো একেবারে মাথায় তুলেই রাখলেন। অবশ্য যত্নে রাখার মতোই একটা অর্জন। ছয় ফাইনালেও যেই স্বপ্ন অধরা ছিলো সেই প্রাপ্তির স্বীকৃতি তো আর মাটিতে রাখা যায় না।

টাইগারদের ২২ বছর ওয়ানডে ইতিহাসে এমন প্রাপ্তি যখন আসলো তখন বিশ্বকাপ মাত্র ১২ দিন দূরে। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের আগে একটা দলের জন্য এর চেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস আর কিই বা হতে পারে!

দুর্দান্ত এই জয়ের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জানালেন, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন অনেকটা এখানকার মতই। বিশ্বকাপের আগে এটা সত্যি আমাদের জন্য বড় এক পাওয়া। আমি মনে করি আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছি।

বলেন, ট্রফি জেতা হলো, সেটাও কোন ম্যাচ না হেরে। নির্ভার থাকারই কথা মাশরাফীর। তবে টাইগার অধিনায়কের দুশ্চিন্তা অন্য জায়গায়। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নন; তবে এটাই যে বাস্তবতা সেটিও মনে করিয়ে দিলেন।

তিনি আরও বলেন, বোলাররা আপ টু দ্যা মার্ক ছিলেন না। যদিও এটাই এমন কন্ডিশনে বাস্তব চিত্র। আমি আগেই বলেছি বিশ্বকাপে বোলাররা অসহায় থাকবে; উইকেট থাকবে স্বর্গরাজ্য। ২৪ ওভারে ২১০ রান চেজ করাটা খুব একটা সহজ ছিলো না আমাদের জন্য। কিন্তু দেখবেন ব্যাটসম্যানরা ঠিকঠাক কাজটা করেছে। পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যাটসম্যানরা দারুণ করেছে।

মাশরাফীর কথার যুক্তি মেলে সিরিজে তিন সেরা টইগার বোলারের পরিসংখ্যানে। মোস্তাফিজ আর আবু জায়েদ দুজনেরই ইকোনমি সাতের উপরে। আর মাশরাফীর ছয় ছুঁই ছুঁই। এমন কন্ডিশনে তাইতো দায়িত্বটা বেশি ব্যাটসম্যানদের। সিরিজে ব্য্যাটসম্যানরা সেটি ঠিকঠাক করেছেন। যেটা বিশ্বকাপের আগে বেশ নির্ভার রাখছে টাইগার অধিনায়ককে।

বিশ্বকাপের আগে মনোবল দৃঢ় করতে যেই রসদ দরকার সবটাই ট্রাইনেশন থেকে পেয়েছে স্টিভ রোডসের দল। এবার সেটাই বিশ্বমঞ্চে ছড়িয়ে দেয়ার পালা টাইগারদের।

যমুনা অনলাইন: আরএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply