সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শীর্ষ পাঁচ

|

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক গ্লেন ম্যাকগ্রা। ৩৯ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়েছেন এই সাবেক অসি ফাস্ট বোলার।

বিশ্বকাপের কিংবদন্তী ম্যাকগ্রার বিশ্বকাপে অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালে। সে বছর সাত ম্যাচে ছয় উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২০ উইকেট পান। অস্ট্রেলিয়া সেবার নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেতাব জেতে। ২০০৩ বিশ্বকাপেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ম্যাকগ্রা এবারও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন। ২১ উইকেট নেন তিনি। গোটা আসরে অপরাজিত থাকে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭-এ নিজের চতুর্থ ও শেষ বিশ্বকাপে এই ফাস্ট বোলার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান ২৬ ইউকেট নিয়ে। বিশ্বকাপের এক আসরে এটাই কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট দখলের রেকর্ড। সেবার ম্যাকগ্রা হন টুর্নামেন্টসেরা। অস্ট্রেলিয়া হয় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন।

ম্যাকগ্রার পর বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার মুক্তিয়াহ মুরালিধরন। ৪০ ম্যাচে ৬৮ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলংকার এই সাবেক অফ-স্পিনার। দ্বীপদেশের হয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন মুরালিধরন। চারবার পেয়েছেন চাটি করে উইকেট। ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেন তিনি। এরপর ২০০৩ বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ১৭ উইকেট দখল করেন এই কিংবদন্তি স্পিনার। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে ’৯৬-র শিরোপাজয়ী শ্রীলংকা। ১২ বছর আগে বিশ্বকাপে বোলারদের মধ্যে সেরা পারফরমার ছিলেন মুরালিধরন।

১০ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি সেবার। ২০১১ বিশ্বকাপে আবারও শ্রীলংকার সর্বোচ্চ ইউকেট শিকারি মুরালি। নয় ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।

ওয়াসিম আকরাম বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় উইকেট পাওয়া বোলার। এই সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার পাঁচটি বিশ্বকপ খেলেছেন। উইকেট ৫৫টি। বিশ্বকাপে তার অভিষেক হয় ১৯৮৭তে। সাত ম্যাচে ৭ উইকেট তার প্রথমপ্রাপ্তি। পরের আসরে ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট। পাকিস্তান চ্যাম্পিন। ’৯৬ বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন উইকেট লেন এই বিশ্বসেরা বাঁ-হাতি পেসার। এরপর আরও দুটি বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। ১৯৯৯তে ১৫ ইউকেট এবং ২০০৩ বিশ্বকাপে ১২ উইকেট দখল করেন বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম।

চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে শ্রীলংকার সাবেক পেসার চামিন্দা ভাস (৪৯ উইকেট) এবং ভারতের জহির খান (৪৪ উইকেট)।

যমুনা অনলাইন/ইউএমএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply