ঈদ আনন্দে বৃষ্টির বাঁধা

|

বছর ঘুরে খুশির ঈদ এলেও সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ঝিরিঝিরি, কোথাও বা মুষলধারে। কিন্তু ঈদের আনন্দ থেমে নেই। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সহ মসজিদে মসজিদে নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঢল। অনেকেই ভিজে ঈদগাহে প্রবেশ করেন। জামাতের আগে ঈদগাহ মুসল্লিপূর্ণ হয়ে গেলে প্রধান গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ভিজে যান। পরে অবশ্য গেইট খুলে দেয়া হয়। বৃষ্টির কারণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিছুটা দেরিতে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে কিছুটা বৃষ্টি হলেও সকালের রোদের আভাস ছিল। কিন্তু হঠাৎ সকাল সাতটার দিকে আকাশ কালো কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে নামে ঝুম বৃষ্টি।
এবারের ঈদে সারাদেশে বৃষ্টি হবে এমনটা আভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দিনই চলতে পারে রোদ-বৃষ্টির খেলা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টায় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। ৮টায় ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন কাসেম। এছাড়া তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমাদ, চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মাওলানা জুবাইর আহাম্মদ আল আযহারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। রোদ উঠলেও বিকালের পরে আবার আকাশে দেখা যাবে মেঘের ঘনঘটা। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ জুড়েই সকাল থেকে বৃষ্টি হবে। তবে, দেশের তাপমাত্রা থাকবে স্বস্তিদায়ক।

তিনি বলেন, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে সকালে নাহলেও, দুপুরের পর যে কোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে। বিকালে এসব এলাকায় রোদের দেখা মিলবে। ফলে, ঈদের দিন সারাদেশেই চলবে মেঘ-বৃষ্টি ও রোদের খেলা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply