অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ বাংলাদেশি নাকি ভারতীয়?

|

লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌস ও নূর অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটানায় সবচেয়ে বড় বিরোধিতা করে পথে নেমেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবং ভারতীয় ভিসার ক্ষেত্রে তাদের “সংরক্ষিত” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।।

অন্যদিকে বুধবার বিজেপি রাজ্য দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আনুষ্ঠানিক ভাবে অঞ্জু ঘোষকে বিজেপিতে বরণ করে নেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে অঞ্জু নাগরিকত্ব নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে থেকে ঘোষের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হয়েছে, তিনি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক এবং “কারসাজি করে তাকে ভারতের নাগরিক বানানো হয়েছে।”

এমন প্রশ্ন উঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে তিনি, বুধবারের ছবি ও অঞ্জুর জন্ম সার্টিফিকেটের ছবি একসঙ্গে পোস্ট করেন এই মেদিনীপুরের সাংসদ। সেখানে তিনি লেখেন, “শ্রীমতে অঞ্জু ঘোষের বিজেপি-তে যোগদানে বহু মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের সন্দেহ অঞ্জু ঘোষ ভারতের নাগরিক কি না। তার জন্ম প্রমাণপত্রই তার নাগরিকত্বের প্রমাণ।”

সেই জন্ম সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি নার্সিংহোমে জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জু। যদিও সার্টিফিকেটটি ইস্যু করা হয়েছে ২০০৩ সালের ২২শে ডিসেম্বর। অন্যদিকে মিস ঘোসের আয়কর দপ্তরের পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ভিন্ন জন্ম তারিখ-৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৭।

প্রকাশ করা হয়েছে অঞ্জু ঘোষের ভোটার পরিচয়পত্রও। সেখানে ২০০২ সালের পয়লা জানুয়ারিতে তার বয়স উল্লেখ্য আছে ৩৫ বছর। অর্থাৎ তার জন্মসাল ১৯৬৭। ঘোষের এমন পৃথক জন্ম তারিখ কীভাবে হল, তার কোন ব্যাখ্যা দেয় নি বিজেপি।

যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে অঞ্জু ঘোষও নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলেই দাবি করেছেন। বলেন, তার বাবা-মা ভারতে মারা গিয়েছেন। এমন কি তার পৈতৃক বাড়িও কলকাতাতেও বলে জানান। তার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে বলেও দাবি অভিনেত্রীর।

অঞ্জু ঘোষের বিজেপিতে যোগদানের পরপরই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে এই ইস্যুতেই মাঠ গরম করবে তৃণমূল কংগ্রেস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply